![]() |
ছবিঃ ইন্টারনেট |
বিশ্ব রাজনীতি এক চরম সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা অঞ্চলে শুরু হওয়া যুদ্ধ এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দুইটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মধ্যে পরিণত হয়েছে। এই দুই যুদ্ধই প্রভাবিত করেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি এবং মানবিক পরিস্থিতি।
গাজা যুদ্ধ: নতুন বিপর্যয়ের মুখে
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা অঞ্চলে তীব্র সংঘর্ষের সূচনা হয়। হামাস ও ইসরায়েলির বাহিনীর মধ্যে লড়াইটি দ্রুত একটি বড় আকার ধারণ করে, যা বিশ্বের অনেক দেশে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য উভয় পক্ষকে দায়ী করেছে। এই সংঘর্ষের ফলে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, এবং আশ্রয়হীন হয়েছে বহু মানুষ।
গাজা অঞ্চলের এই যুদ্ধ শুধু ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই সংঘর্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, যার ফলে বৈশ্বিক রাজনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২2 সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হলেও, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে এটি আরও কঠোর ও চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলিতে ব্যাপক লড়াই চলছে এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনী শহরগুলোতে ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং পশ্চিমা দেশগুলির সহায়তা পেয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে।
এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেন বা রাশিয়া নয়, এটি গোটা ইউরোপ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে শক্তির মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, এবং খাদ্য সংকটের মতো বিষয়গুলো এই যুদ্ধের পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মানবিক বিপর্যয় এবং বিশ্ব মানবাধিকার
এই দুই যুদ্ধই মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এবং বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলি বারবার যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং আন্তর্জাতিক চাপের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পরিণতি ও ভবিষ্যৎ
যুদ্ধের শেষ কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর অদ্ভুতভাবে অনিশ্চিত। তবে, এক কথা স্পষ্ট যে, এই দুই যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ বদলে দেবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত একত্রিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা, যাতে এসব সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব হয়। যতদিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে, ততদিন বিশ্বে অস্থিরতা এবং মানবিক দুর্ভোগের শেষ হবে না।
Post a Comment